কুমিল্লায় নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে বুড়িচং থানার (এ.এস.আই) মালেক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা বুড়িচং  উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর  লড়িবাগ এলাকা থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে  সিএনজিতে উঠিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগে বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) মালেক ও তার সহযোগী সিএনজি চালক বিল্লালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে ২.৩০ মিনিটে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ রাস্তার মাথায়। এঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভূক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃত আসামিরা হলেন, কুমিল্লা বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) আব্দুল মালেক ও মো: বিল্লাল হোসেন (৪৪) বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর ইউপির কন্ঠনগর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে।
ভূক্তভোগী ও মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইলের লড়িবাগ এলাকার স্থানীয় একটি ডিগ্রি কলেজের দ্ধাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছদ্মনাম (আশা)। বাবা মুদি দোকানদার তার মা অসুস্থ থাকায় মার জন্য ঔষধ আনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গাড়ি না থাকায় পায়ে হেটে লড়িবাগ রাস্তার মাথায় পৌছলে একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে সামনে দাড়িয়ে সিএনজির ভিতরে থাকা লোকটি গাড়িতে উঠতে বলে সে গাড়িতে থাকা লোকটি পুলিশের পোষাক পরিহিত একারণে অভয়ে সিএনজিতে উঠে। সিএনজিতে উঠার পর ঘটে ভিন্ন ঘটনা পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকটি তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং লজ্জাস্থানে স্পর্শ করে।
পরে তার সাথে সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করে দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। তাকে তার কাপড়ের সাইজ কত অন্তর্বাশের সাইজ কত বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা বুড়িচং থানার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরোঘুরির করে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে শ্লীলতাহানী করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়।
এ সময় সিএনজিতে থাকা পুলিশ পরিচয় দেয়া লোকটা ও সিএনজি চালক তাকে বলে দেয় যে সে যদি এবিষয়ে কাউকে কিছু বলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয়। এঘটনার পর আশা কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাকে তার পরিবার থেকে কলেজে না যাওয়ার কারণ জিগ্যেস করলে এক পর্যায়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে তার এলাকায় ও থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সিএনজিতে থাকা লোকটি বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) আব্দুল মালেক ও সিএনজি চালক মো: বিল্লাল হোসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারফুর রহমান জানান, এঘটনায় কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আমরা অভিযুক্ত থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) মালেক ও তার সিএনজি চালক বিল্লালকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন বলে তিনি জানান।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!